প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বুধবার (২৭ জুলাই)। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের সহযোগী সংগঠন হিসেবে ১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক নেতাদের সমন্বয়ে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।'
-প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি আন্দোলন, সংগ্রাম ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সবসময় মাঠে ছিল। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং অসহায় ও কর্মহীন মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের এই সহযোগী সংগঠনটি। সংগঠনের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। বিশেষ বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
-প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১১টায় খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সন্ধ্যা ৭টায় কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠ প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আতশবাজি উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী
'স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী সংগঠনটির সব নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভার্থীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।'
-তিনি বলেন, '২০০৩ সালে পূর্ণাঙ্গ সাংগঠনিক কাঠামো করার পর সেবা-শান্তি-প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠনটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় দেশ ও জাতির সব দুর্যোগ-দুর্বিপাকে নিঃস্বার্থ স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে মানবিকতার অনন্য নজির স্থাপন করেছে।
আজ বাংলাদেশ আওয়ামী 'স্বেচ্ছাসেবক লীগের' ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
করোনা মহামারিতে গোটা বিশ্ব যখন বিপন্ন হয়ে পড়েছে, সেই চরম দুঃসময়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সচেতনতা সৃষ্টি, ত্রাণ বিতরণ, চিকিৎসা সহায়তা থেকে টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও লাশ দাফনসহ সব ধরনের মানবিক উদ্যোগ গ্রহণে যেভাবে দিন-রাত নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।'
-তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আরও গতিশীল হবে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত-আধুনিক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।'